এ কে ফজলুল হকের জীবনী | A.K.Fazlul Huq biography in bengali

 

এ কে ফজলুল হকের জীবনী | A.K.Fazlul Huq biography in bengali
A.K.Fazlul Huq

এ কে ফজলুল হকের জীবনী (A.K.Fazlul Huq biography)

জীবনী Biography
পুরো নাম: (Full Name) আবুল কাসেম ফজলুল হক (Abul Kasem Fazlul Huq)
জনপ্রিয়ভাবে পরিচিত: (Popularly Known As) শের-ই-বাংলা (বাংলার সিংহ) (Sher-e-Bangla (Lion of Bengal)
জন্ম তারিখ: (Date of Birth) অক্টোবর 26, 1873 (October 26, 1873)
জন্মস্থান: (Place of Birth) সাটুরিয়া, বাকেরগঞ্জ জেলা, ব্রিটিশ ভারত (বর্তমানে বাংলাদেশে) (Saturia, Bakerganj District, British India (now in Bangladesh)
মৃত্যুর তারিখ: (Date of Death) এপ্রিল 27, 1962 (April 27, 1962)
মৃত্যুবরণ এর স্থান: (Place of Death) ঢাকা, পূর্ব পাকিস্তান (বর্তমানে বাংলাদেশ) (Dhaka, East Pakistan (now Bangladesh)


এ কে ফজলুল হক শিক্ষাগত যোগ্যতা (A.K.Fazlul Huq education qualification)

ব্রিটিশ ভারতের কলকাতার হুগলি কলেজ থেকে স্নাতক।

ব্রিটিশ ভারতের কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনের স্নাতক (এলএলবি) ডিগ্রি অর্জন করেন।


রাজনৈতিক পেশা:


ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসে (আইএনসি) যোগদান করেন।

বঙ্গীয় প্রাদেশিক কংগ্রেস কমিটির সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

1923 সালের বেঙ্গল প্যাক্টে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, যার লক্ষ্য ছিল বাংলায় হিন্দু ও মুসলমানদের মধ্যে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা মোকাবেলা করা।

1923 সালে বেঙ্গল লেজিসলেটিভ কাউন্সিল এবং 1937 সালে বেঙ্গল লেজিসলেটিভ অ্যাসেম্বলিতে নির্বাচিত হন।


প্রধান রাজনৈতিক পদ:


বাংলার প্রধানমন্ত্রী:

প্রথম মেয়াদ: এপ্রিল 1937 থেকে ডিসেম্বর 1941।

দ্বিতীয় মেয়াদ: এপ্রিল 1942 থেকে ফেব্রুয়ারি 1943।

তৃতীয় মেয়াদ: এপ্রিল 1954 থেকে ফেব্রুয়ারি 1956।

পূর্ব পাকিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী:

মার্চ 1956 থেকে মার্চ 1958 পর্যন্ত পরিবেশিত।


রাজনৈতিক বিশ্বাস এবং অবদান:


ফজলুল হক তার প্রগতিশীল ও জনতাবাদী রাজনৈতিক এজেন্ডার জন্য পরিচিত ছিলেন।

ভূমি সংস্কার, শিক্ষা সংস্কার এবং কৃষক ও শ্রমিকদের অধিকারের পক্ষে ওকালতি করেন।

গ্রামীণ জনসংখ্যার মুখোমুখি আর্থ-সামাজিক সমস্যাগুলি মোকাবেলায় মনোনিবেশ করা।

পূর্ব পাকিস্তানের জন্য আঞ্চলিক স্বায়ত্তশাসন এবং বৃহত্তর অধিকারের উপর জোর দেন।


1952 সালের ভাষা আন্দোলন:


1952 সালের ভাষা আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবিকে সমর্থন করেন।

এই আন্দোলন শেষ পর্যন্ত বাংলাকে পাকিস্তানের জাতীয় ভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠার দিকে নিয়ে যায়।


উত্তরাধিকার:


এ.কে. ফজলুল হককে বাংলা ও পূর্ব পাকিস্তানের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক নেতা হিসেবে স্মরণ করা হয়।

তিনি স্বাধীনতা আন্দোলনে অবদানের জন্য এবং সামাজিক ন্যায়বিচার এবং আঞ্চলিক স্বায়ত্তশাসনের জন্য তার সমর্থনের জন্য পালিত হয়।

তাঁর ডাকনাম, "শের-ই-বাংলা", এই অঞ্চলে তাঁর উল্লেখযোগ্য প্রভাব এবং জনপ্রিয়তাকে প্রতিফলিত করে।


সম্পূর্ণ বিস্তারিত

এ.কে. ফজলুল হক, যার পুরো নাম ছিল আবুল কাসেম ফজলুল হক, ব্রিটিশ ভারত এবং পরে পূর্ব পাকিস্তানে (বর্তমানে বাংলাদেশ) একজন বিশিষ্ট রাজনৈতিক নেতা ছিলেন। তিনি 26 অক্টোবর, 1873 সালে, সাটুরিয়া, বাকেরগঞ্জ জেলা, ব্রিটিশ ভারতের (বর্তমান বাংলাদেশ) জন্মগ্রহণ করেন এবং 27 এপ্রিল, 1962 তারিখে ঢাকা, পূর্ব পাকিস্তানে মারা যান।

ফজলুল হক ছিলেন পেশায় একজন আইনজীবী এবং ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব। তিনি বঙ্গীয় অঞ্চলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন এবং ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস (আইএনসি) এবং অল ইন্ডিয়া মুসলিম লীগ সহ তার কর্মজীবনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সাথে যুক্ত ছিলেন।

হক তার রাজনৈতিক জীবনে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। তিনি তিনটি পৃথক অনুষ্ঠানে বাংলার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন: এপ্রিল 1937 থেকে ডিসেম্বর 1941, এপ্রিল 1942 থেকে 1943 সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এবং এপ্রিল 1954 থেকে 1956 সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এছাড়াও তিনি মার্চ 1956 থেকে পূর্ব পাকিস্তানের মুখ্যমন্ত্রীর পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। মার্চ 1958।

ফজলুল হক তার প্রগতিশীল রাজনৈতিক এজেন্ডার জন্য পরিচিত ছিলেন এবং ভূমি সংস্কার, শিক্ষা সংস্কার এবং কৃষক ও শ্রমিকদের অধিকারের পক্ষে ছিলেন। তিনি সামাজিক ন্যায়বিচার এবং আঞ্চলিক স্বায়ত্তশাসনের একজন চ্যাম্পিয়ন ছিলেন, বিশেষ করে পূর্ব পাকিস্তানের জন্য। স্বাধীনতা পূর্বকালে বাংলায় হিন্দু ও মুসলমানদের মধ্যে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা মোকাবেলায় হকের প্রচেষ্টা উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছিল।

তদুপরি, ফজলুল হক 1952 সালের ভাষা আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন, যার লক্ষ্য ছিল বাংলাকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসাবে প্রতিষ্ঠা করা। যে আন্দোলনে বহু মানুষ উর্দুকে একমাত্র সরকারি ভাষা হিসেবে চাপিয়ে দেওয়ার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছিল, শেষ পর্যন্ত বাংলাকে পাকিস্তানের জাতীয় ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।

ফজলুল হককে বাংলা ও পূর্ব পাকিস্তানের একজন বিশিষ্ট নেতা হিসেবে স্মরণ করা হয়, তার ডাকনাম "শের-ই-বাংলা" (বাংলার সিংহ) এই অঞ্চলে তার প্রভাব ও জনপ্রিয়তার প্রতীক। তিনি রাজনৈতিক দৃশ্যপট এবং বর্তমানে বাংলাদেশের স্বায়ত্তশাসন ও সামাজিক ন্যায়বিচারের সংগ্রামে স্থায়ী প্রভাব রেখে গেছেন।

Post a Comment

0 Comments